Mitul: অগ্নিশিখার পর ছিল না কাজ, লকডাউনে রোজগারের আশায় ঝাড়গ্রাম থেকে ফের এসেছিলেন কলকাতায় যদি কাজ জোটে! নিজের উপার্জন দিয়েই ঝাড়গ্রামের সংসারের হাল ধরেছে খেলনা বাড়ির মিতুল মা

বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকে যেভাবে জোয়ার এসেছে তাতে একের পর এক নতুন নতুন ধারাবাহিক এসেই চলেছে বিভিন্ন বাংলা চ্যানেলগুলোতে। সম্প্রতি এক ঝাঁক নতুন ধারাবাহিক এসেছে জি বাংলা, স্টার জলসা, সান বাংলা, কালার্স বাংলায়।

বেশ কিছু ধারাবাহিক শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে। বিভিন্ন পারিবারিক গল্পের মাঝে যখন অন্য ধরনের গল্পের স্বাদ পায় মানুষ তখন সেই গল্প খুব তাড়াতাড়ি দর্শকদের মনে প্রবেশ করে যায়। তেমনই একটি ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে খেলনা বাড়ি।

জি বাংলার এই ধারাবাহিক অল্প সময়ে শুরু হলেও বেশ তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টেলিভিশনের পর্দায়। ঝাড়গ্রাম পেরিয়ে কলকাতায় রোজগারের আশায় এসেছিলেন অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই তিনি পেয়েছেন নতুন পরিচিতি “মিতুল”।

মহামারীর সময় যখন সবাই ঘরে আটকে পড়েছিল ঠিক সেই সময় তিনি নিজের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় এসেছিলেন রোজগারের আশায়। খুব অল্প বয়সে টলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছেন কারণ সবেমাত্র মাধ্যমিক পাস করেছেন তিনি। বলা যায় এখন অবধি কিশোরী।

এত কম বয়সে নিজের প্রতিভার জোরে অডিশনে মন জিতে নিয়েছিলেন বিচারকদের। সান বাংলার অন্যতম সিরিয়াল অগ্নিশিখাতে শিখার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন তিনি। সেটাই ছিল আরাত্রিকার প্রথম কাজ। তবে তারপর আর অপেক্ষা করতে হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ডাক পেয়ে গিয়েছিলেন জি বাংলার খেলনা বাড়ি ধারাবাহিকে।

পুতুল বিক্রি করে তা দিয়ে সংসার গড়ে তুলেছে মিতুল। মেয়েদের কাছে ছোটবেলার পুতুল খেলা একটা আলাদা নস্টালজিয়া। ঠিক সেই নস্টালজিয়া ধরতে পেরেছে মিতুল। ফলে খুব তাড়াতাড়ি বাঙালি দর্শকরা বিশেষ করে মহিলারা আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এই ধারাবাহিকের প্রতি। আর মিতুলের স্বামী ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী ওরফে বিশ্বজিৎ ঘোষ একজন ব্যবসায়ী। দুজনের রোমান্স এবং খুনসুটি দর্শকদের খুব ভালো লেগে গেছে।

আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পুরনো হলো। ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে মিতুল, মিঠাই এই চরিত্রগুলি স্বাধীন ভারতের মেয়েরা কতটা স্বাধীন হতে পেরেছে সেই দিকেই ইঙ্গিত করে। মিঠাই যেমন মিষ্টি বানিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে তেমনি মিতুল মাটির পুতুল বানিয়ে নিজেই নিজের সংসারের হাল ধরেছে।

Back to top button