মা চেষ্টা করেছিল যাতে আমি আর আমার প্রেমিক পথে বসি! মাকে ছেড়ে থাকা কষ্টের কিন্তু আমরা ভালো আছি! মুখ খুলল পর্দার ‘মিশকা’

কিছুদিন আগে একটি ঘটনার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিরোনাম দখল করেন ২০ বছর বয়সী অভিনেত্রী অহনা দত্ত। যাঁকে দর্শকরা চেনেন অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের খলনায়িকা মিশকা হিসেবে। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সম্পর্কের চর্চার কারণে খবরে উঠে আসেন তিনি।

ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়ায় দুই সন্তানের বাবা সূর্যকে বিয়ের জন্য যেকোন‌ও কিছুই করতে পারে মিশকা। সূর্যকে পেতে খুন পর্যন্ত করতে প্রস্তুত সে। দীপাকে সূর্যের জীবন থেকে সরিয়ে দিয়ে সূর্যর স্ত্রী হতে চায় সে। শোনা যাচ্ছে, বাস্তবজীবনে নাকি এমন‌ই এক ডিভোর্সির প্রেমে পড়েছেন তিনি। আর এর ফলে মা এবং পরিবারের বাকিদের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ভেঙেছেন তিনি।

কিছুদিন আগেই অভিনেত্রীর মা চাঁদনী গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করে লেখেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই নাকি নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন অহনা। উল্লেখ্য, অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের রূপটান শিল্পী দীপঙ্কর দে’র সঙ্গে এই মুহূর্তে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন অহনা। বলা যায় দীপঙ্করের প্রেমে অন্ধ তিনি।

চাঁদনী গঙ্গোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পর থেকেই দীপঙ্করের প্রাক্তন স্ত্রীও দীপঙ্করের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন। একজন ডিভোর্সির সঙ্গে প্রেম এবং মায়ের সঙ্গে দূরত্বকে ঘিরে নেটিজেনরা তুমুল কটাক্ষ করেন অহনাকে। আর এবার সেই সমস্ত কটাক্ষের জবাব দিলেন অভিনেত্রী। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দীপঙ্করের প্রাক্তন জীবনের বিষয়ে সবই জানতাম। তাঁর কথায়, যাঁর সংসার আগেই ভেঙেছে, আমি নতুন করে তা ভাঙব কী করে?

অভিনেত্রী জানান আমি জানতাম যে মা আমাদের সম্পর্কটা সহজে মেনে নেবে না, কিন্তু এতটা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসবে, আশা করিনি। আজ থেকে ছয় মাস আগেই বাড়ি ছেড়েছেন তিনি। মা, দাদু, দিদা তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি আর বলে জানিয়েছেন তিনি। অহনা নিজের মায়ের কাছেই বড় হয়েছেন। তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল তাঁর ছোটবেলায়।

মাকে ছেড়ে থাকতে ভীষণই কষ্ট হয়। কিন্তু প্রেমিককেও ছাড়তে পারবেন না তিনি। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর মা নাকি এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যাতে তাঁর বা দীপঙ্করের সিরিয়ালের কাজ চলে যায়। যদিও আক্ষেপ পুষে রাখেননি তিনি। আর পুরস্কার হাতে তোলার পর তা উৎসর্গ করেছেন মাকেই। যদিও নেটিজেনদের জ্ঞান শুনতে নারাজ তিনি। আর বাকি জীবনটা যে তিনি দীপঙ্করের সঙ্গেই কাটাবেন এবং কারর কোন‌ও কথাতেই যে তিনি প্রভাবিত হবেন না তা বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।